ও আমাকে আগের মতো আর সময় দেয় না


‘ও এখন আমাকে আগের মতো আর ভালোবাসে না। আমি এখনো ওকে অনেক ভালোবাসি, কিন্তু ইদানীং আমাদের সম্পর্কটা ভীষণ নিষ্প্রাণ মনে হয়, কোথায় যেন সুর কেটে গেছে। আমার খুব রাগ লাগে, যখন দেখি ও আমাকে আগের মতো আর সময় দেয় না আর এটা বললেই ও ভীষণ খেপে যায়। ও আমাকে আগে অনেক ভালো বুঝত, কিন্তু এখন বুঝতেই চায় না। যা-ই বলি, তা-ই শুনে বিরক্ত হয়। আমি কী করব কিছুই বুঝতে পারি না!’ কাউন্সেলিং নিতে আসা অনেকেই তাঁদের সঙ্গীর ব্যাপারে এমন কথা বলে থাকেন। পুরোনো দিনগুলো কত ভালো ছিল আর সামনের দীর্ঘ পথটুকু সঙ্গীকে নিয়ে কী করে পার করবেন, তাই নিয়ে হতাশা আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। অনেকের এমন ধারণাও কাজ করে যে ভালোবাসার সম্পর্কগুলোর নিয়তি বুঝি এমনই, শুরুটা সুন্দর, তারপর ধীরে ধীরে বিষাদ নেমে আসে এবং শেষমেশ শুধু টিকে থাকা।
প্রতিটা সম্পর্কেই ব্যক্তি কিছু না কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। আপনি ও আপনার সঙ্গী ছাড়াও চারপাশের প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পরিবর্তন ইতিবাচক, নেতিবাচক দুভাবেই জীবনে আসতে পারে। নেতিবাচক পরিবর্তনে যে দুর্দশা তৈরি হয়, তা দুজন সঙ্গীর মধ্যকার যোগাযোগে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাঁরা একে অন্যের প্রতি সমালোচনামূলক, নিজের প্রতি রক্ষণাত্মক এবং অন্যের প্রতি অবজ্ঞাসূচক আচরণ করতে থাকেন। নিরপেক্ষ এমনকি ইতিবাচক ঘটনাও তাঁদের কাছে তখন নেতিবাচক হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।
এভাবে দুর্দশাগ্রস্ত সঙ্গীদের মধ্যে অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব, দূরত্ব ও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হতে থাকে। একপর্যায়ে সম্পর্কটাকে তাঁদের কাছে বোঝা মনে হতে শুরু করে। যা সম্পর্কের খুব স্বাভাবিক একটা পর্যায়। বেশির ভাগ সম্পর্কই কোনো না কোনো সময়ে এ রকম পরিস্থিতিতে পড়ে। কেউ কেউ এটি থেকে বের হতে পারেন, কেউ কেউ আরও দুর্দশার দিকে এগোতে থাকেন।
মানুষ হিসেবে আমরা সাধারণত কারও না কারও সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। আশপাশের মানুষ যেন আমাকে পছন্দ করে, জীবনের নিয়ন্ত্রণ যেন আমার হাতে থাকে। এই চাওয়াগুলো যখন পূর্ণ হয়, তখন একজন মানুষ কল্যাণ, মঙ্গল এবং জীবনের একটা উদ্দেশ্য খুঁজে পায়।
সাধারণত তিনভাবে মানুষ সাড়া দেয়—আগ্রহ, অবজ্ঞা ও উপেক্ষা।
যখন অবজ্ঞা করা হয়, তখন তাতে থাকা তাচ্ছিল্য, সমালোচনা ও উপহাসের আক্রমণাত্মক ইঙ্গিতে সঙ্গী অসম্মানিত বোধ করে, যা তার মধ্যে রাগ, ঘৃণা, সন্দেহ ও নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দেয়। আর যখন উপেক্ষা করা হয়, তখন গুরুত্ব না পাওয়া সঙ্গীর মধ্যে কষ্ট ও বিষাদ তৈরি করে। একটা সম্পর্কের সাফল্য মূলত নির্ভর করছে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনি ‘আগ্রহ’, ‘অবজ্ঞা’ না ‘উপেক্ষা’ কোনটা করছেন, তার ওপর।
‘তুমি আমাকে ইদানীং একদমই সময় দিচ্ছ না’—এভাবে অভিযোগ না করে আপনি বলতে পারেন যে ‘আমার তোমার কাছে কিছু সময় দরকার’, যা আপনার প্রয়োজনকে প্রকাশ করবে। যদি অভিযোগের আকারেই বলতে চান, সেটাকে আপনার ভাবনালব্ধ পরম সত্য হিসেবে প্রকাশ না করে আপনার উপলব্ধি কিংবা পর্যবেক্ষণ হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন।
‘তুমি আমাকে ইদানীং একদমই সময় দিচ্ছ না’—এভাবে অভিযোগ না করে আপনি বলতে পারেন যে ‘আমার মনে হচ্ছে, তুমি ইদানীং খুব ব্যস্ত’ (উপলব্ধি) কিংবা ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, গত দুদিন ধরে তোমার বাড়ি ফিরতে দশটা বেজে যাচ্ছে এবং তুমি আমার সঙ্গে কথা বলার সময় বের করতে পারছ না’ (পর্যবেক্ষণ)। যখন অভিযোগ করা হচ্ছে, তখন একসঙ্গে সব অভিযোগ না করে একটা বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকা ভালো। আপনার সঙ্গী আপনাকে সময় দিচ্ছে না, এটা বলতে গিয়ে যদি আপনি সঙ্গে আরও দশটি অভিযোগ করেন, তখন কোনোটাই ঠিকমতো কথা বলা হবে না। কোনো সমাধানই আসবে না বরং একটা বিষয় নিয়ে একদিনে কথা বললে তা নিয়ে একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব।
যদি এ রকম হয় যে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার পুরোনো কিছু বিষয়ের দ্বন্দ্ব এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। যা নিয়ে আপনি এখনো প্রচুর কষ্ট, রাগ কিংবা হতাশা পুষে রেখেছেন এবং এর মধ্যেই নতুন কোনো দ্বন্দ্বের আবির্ভাব হলে সেটা নিয়ে যখন কথা বলতে যাবেন, তখন স্বভাবতই পুরোনো প্রসঙ্গগুলোও চলে আসবে। অতীত, বর্তমান—এই দুইয়ের অভিজ্ঞতা তখন আপনার ভবিষ্যৎকেও ভীষণ শঙ্কায় ফেলবে এবং অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ এই তিনের সম্মিলিত চিন্তারাশি আপনার মধ্যে তখন চূড়ান্ত রকম অপ্রীতিকর অনুভূতি তৈরি করবে। এই রকম সময়ে আমরা খুব কমই যুক্তি দিয়ে ভাবতে পারি ফলে বেশির ভাগ সময়েই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এ রকম পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ছোট-বড় যেকোনো রকম দ্বন্দ্ব নিয়েই সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা ঠান্ডা মাথায় কথা বলা এবং নিজের মধ্যে পুষে না রাখা। আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে যেসব দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা হচ্ছে না, তা যত দ্রুত খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজন আকারে সঙ্গীর কাছে প্রকাশ করুন। মনে রাখবেন, আপনি যা বলছেন, যা বলছেন না (মনে পুষে রাখছেন) তা আপনাদের সম্পর্ককে বেশি তিক্ত করছে।
আত্মরক্ষা মানুষের সহজাত একটা প্রক্রিয়া। সঙ্গীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের অজান্তেই আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হই। বুঝে কিংবা না বুঝে করা নিজের ভুলকে সামনে আসতে দিতে চাই না। এই স্বতঃস্ফূর্ত আত্মরক্ষার অভ্যাস থেকে বের হতে পারা হবে আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। যখন সঙ্গী অভিযোগ করছেন, সেই অভিযোগটাকে সম্মান দেওয়া এবং গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হতে পারে আমাদের প্রথম কাজ। এতে অভিযোগকারী অনুভব করবেন যে সঙ্গী তাঁকে বুঝতে পারছেন। এর পরের ধাপে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন যে এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে তাঁকে সহায়তা করতে পারেন কিংবা ব্যক্তি নিজেই সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁর করণীয় বিষয়টি সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।
গবেষণা বলে, বেশির ভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই দ্বন্দ্ব এই কারণে হয় যে সঙ্গীরা একই পরিস্থিতিকে ভিন্ন ভিন্নভাবে অনুধাবন করেন। একই পোশাক কিংবা সিনেমা কিংবা খাবার একজনের কাছে খুব ভালো তো অন্যজনের কাছে বিশ্রী। এই ভিন্নতা সঙ্গীদের মধ্যে আবেগীয় দূরত্ব তৈরি করে। এমনকি এই ভিন্নতা থেকে আমরা প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়াই, ‘কীভাবে এমন সুন্দর জিনিসকে একজন বাজে বলতে পারে’, কিংবা ‘কীভাবে এমন বিশ্রী একটা জিনিসকে মানুষ সুন্দর বলতে পারে’, এভাবে আমরা একে অন্যের সমালোচনা করে ফেলি। এই ক্ষেত্রে ‘সম্মিলিত অর্থবহতা’ আমাদের আবেগীয় যোগাযোগকে নিশ্চিত করতে পারে। সম্মিলিত অর্থবহতা হলো, সঙ্গীদের মধ্যে বিদ্যমান মিলগুলোকে খুঁজে বের করা। এই ভালো লাগা কিংবা খারাপ লাগার বাইরেও এমন একটা বিষয় খুঁজে বের করা যাতে একমত পোষণ করা যেতে পারে। এমনকি আমরা যে একই প্রসঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি, অন্তত এই দ্বিমত পোষণ করায় আমরা একমত হতে পারি। ছোট ছোট বিষয়, যেমন একসঙ্গে রাতের খাবার খাওয়া, সঙ্গীকে হাসিমুখে বিদায় দেওয়া, বিশেষ দিনগুলা উদ্যাপন করা, একসঙ্গে বাগান করা, রান্না করা এমনকি দাঁত মাজাও সঙ্গীদের মধ্যে সম্মিলিত অর্থবহতা তৈরি করতে পারে। এভাবে, আমরা যখন একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দকে সম্মান করব, পাশে থাকব, একে অন্যের স্বপ্নকে অনুপ্রাণিত করব এবং তা অর্জনে সাহায্য করব এমনকি তখনো যখন সঙ্গীর সেই অর্জনে আমার কোনো লাভ নেই, তখনই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থার সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
জানা আর প্রয়োগ করা এক বিষয় নয়। ওপরের বিষয়গুলো এক-দুই দিনেই অর্জন সম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকুন। শুরুতে সঙ্গীকে সরাসরি মুখ ফুটে বলতে না পারলে অন্তত মনে মনেই বলুন, নিজের সঙ্গে নিজেই মহড়া চালিয়ে যান, একসময় মনের ভাষা ঠিক মুখে চলে আসবে।
আর তাতেও যদি কাজ না হয়, বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে পারেন।
ঘাটাইলে হত্যাকারীর শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ


মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ,
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত জেরে ব্যবসায়ী কূহিনূর মিয়া(৪৫) হত্যা কাণ্ডে জড়িত সামি চৌধুরীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ করেছেন নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ ) বিকেলে ধলাপাড়া-ঘাটাইল সড়কের গাঞ্জানা ব্রিজ মোড় এলাকার সড়কে অবস্থান নেন তারা। ঘন্টাব্যাপী স্থানীয় শত শত লোক সড়কে অবস্থানের পর আসামি গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করেন প্রশাসন।
এর আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ব্যবসায়ী কহিনূর মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে পরিবার । গেল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশ দাফন করা হয়নি।
এদিকে ঘটনার পর ওইদিন রাতে নিহতের ছেলে জুয়েল রানা বাদী হয়ে একই এলাকার খসরু চৌধুরীর ছেলে সামি চৌধুরী সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে । এছাড়া যারা সড়কে লাশ রেখে অবরোধ করেছেন তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় আটক ৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চট্রগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে র্যাব-৯ এর সদস্য। বুধবার (৮ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত হেলিম ভূইয়ার ছেলে এজহারনামীয় আসামি জাকির হোসেন জাকু (৪৮), একই গ্রামের হাজী আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), উপজেলার চাওড়া দৌলতবাড়ী আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন (৩৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে এবং বর্তমান চাওড়া দৌলতবাড়ীর বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ মার্চ রাতে ইসলামি বক্তা মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নুরী (৩৮) তার সহযোগী একজনসহ বিজয়নগর এলাকার দৌলতবাড়ী দরবার শরীফের মাহফিল শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জেলার আখাউড়া উত্তর ইউপির রামধননগর গ্রামের রেলক্রসিং এর কাছে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ করে।
আসামিরা মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে জিহ্বা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গুরুতর জখম হয়। তারা সাথে থাকা ব্যক্তিকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনায় মাওলানা শরীফের চাচা মো. আব্দুল বাছির ভূইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে জোরদার করে। র্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত ৪ জনকে চট্টগ্রাম জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান হতে এজাহারনামীয় একজনসহ ৪ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান ইসলামি বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নুরীর সেদিনের ওরসের বক্তব্যের কিছু অংশ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি এবং সেই বক্তব্যে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং মাওলানা শরীফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।
যার ফলশ্রুতিতে, মাওলানা শরীফ ওরস থেকে ফেরার পথে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার ফলে তার জিহ্বা কেটে যায়। এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তে স্পষ্ট হবে। এসময় র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ যমুনা টিভি
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী’র বিক্ষোভ মিছিল


মোঃ মাইনুল ইসলাম
জামালপুর প্রতিনিধি
“হটাও দালাল, বাচাও ভূমি মালিক” এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ ও দালালদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে উপকার ভোগী সচেতন ভূমি মালিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রবিবার (১২মার্চ) সকালে চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে উপকার ভোগীরা, পরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে বেনুয়ারচর বাজার ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভূমি অফিসে এসে শেষ হয়।
এসময় এলাকাবাসীর বক্তব্যে বলেন, চরপুটিমারি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম যোগদান করার পর ভূমি অফিসকে দালাল মুক্ত ঘোষণা করায় দালালরা ক্ষিপ্ত হয়ে নায়েবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে ঝাড়ু মিছিলসহ নানান অপপ্রচার করেছে।
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। এবং অত্র ইউনিয়নের যোগদানের পর ভালো ভূমি সেবা দেওয়ার জন্য ঐ ইউনিয়নের সাধারণ উপকার ভোগীরা, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম’কে ফুলের মাল্য পড়িয়ে সংবর্ধনা দেন।
বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নিহত ২।


মোঃ মিজান হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পরে যায় সুপারভাইজারসহ নিহত ২ আহত ১৯।
এতে আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে বরিশাল-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার কানুদাশকাঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। আহতদের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। পুলিশ ও আহতরা বাস যাত্রীরা জানান, বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে সকালে যাত্রা শুরু করে। বাস ছাড়ার পর থেকে চালক ও হেলপার সুপরভাইজারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়ে কয়েক দফায়। এ কারনে চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে বাসটি এলে পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচরে খাদে পড়ে যায়। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনাস্থলেই সুপার ভাইজার ও এক বাস যাত্রী নিহত হন এবং অন্তত ১০/১৫ জন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনায় যান চলাচল বন্ধ হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। মরদেহ উদ্ধার পূর্বক এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভূঞাপুরে আনন্দ টিভি’র পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


কোরবান আলী তালুকদার:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে “আনন্দ টিভির” পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন “আনন্দ টিভির” টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি আল আমিন শোভন। এ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পৌর শহরের উপজেলা চত্বর হয়ে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিকের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আখতার হোসেন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাসুদুল হক মাসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতি, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ মজিদ মিয়া, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা বদিউজ্জামান খান প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কিসলু, সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ন সম্পাদক জুলিয়া পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাহীন, ডিবিসি টেলিভিশনের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি সোহেল তালুকদার সহ ভূঞাপুর ও ঘাটাইলের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দরা আনন্দ টিভি’র ৫ বছরের কর্মকান্ড নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল সাফল্য কামনা করেন।