গাইবান্ধায় গৃহবধূর একসাথে তিন কন্যার জন্ম, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত দরিদ্র দম্পতি

গাইবান্ধায় এক গৃহবধূ একসাথে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জন্ম নেয়া তিনজনেই কন্যা সন্তান। বর্তমানে মা ও নবজাতকেরা সুস্থ আছেন।সোমবার (২৭ জুন) সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্য ভাঙ্গামোড় (টুবরিপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়িতে তিন নবজাতকের জন্ম হয়। ভোররাতে হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় এলাকার ধাত্রী মমতা বেগমের সহযোগিতায় স্বাভাবিক প্রসবে তিন সন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ।গৃহবধূর নাম রুমা বেগম। তার স্বামী আশাদুল প্রামাণিক পেশায় কৃষক। একসাথে তিন সন্তান জন্মের পর খুশি হলেও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত রুমা-আশাদুল দম্পতি। এই দম্পতির ঘরে আরিফা আকতার নামে ৭ বছরের এক মেয়ে ও রবিউল ইসলাম নামে ৫ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
আশাদুল প্রামাণিক বলেন, নিজের সম্পদ বলতে কিছুই নেই। ভাইয়ের জমিতে ঘর করে বসবাস করেন তারা। অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করে যা আয় তা দিয়েই চলে সংসার। নিজের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। দীর্ঘদিন ধরে পেটে একটি টিউমার হয়ে অসুস্থতায় ভুগলেও অর্থের অভাবে অপারেশন করতে পারছি না। এখন জন্ম নেয়া তিন নবজাতকসহ সাত সদস্যের সংসার চলবে কি করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তবে সুস্থভাবে সন্তানদের বেঁচে থাকতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এদিকে, একসাথে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় পরিবার ছাড়াও খুশি প্রতিবেশীসহ আশপাশের মানুষ। তিন নবজাতকের জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে তাদের এক নজরে দেখতে আসছেন মানুষ, অনেকেই তাদের ছবি তুলছেন।খবর পেয়ে নবজাতক শিশুদের দেখতে আসেন দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. শাহজাহান প্রামাণিক। এসময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনা করে রুমা-আশাদুল দম্পতিকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি দরিদ্র রুমা-আশাদুল দম্পতির পরিবারকে সহযোগিতার জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ বিত্তবানদের কাছেও সহযোগিতার দাবি জানান।
বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নিহত ২।


মোঃ মিজান হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পরে যায় সুপারভাইজারসহ নিহত ২ আহত ১৯।
এতে আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে বরিশাল-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার কানুদাশকাঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। আহতদের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। পুলিশ ও আহতরা বাস যাত্রীরা জানান, বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে সকালে যাত্রা শুরু করে। বাস ছাড়ার পর থেকে চালক ও হেলপার সুপরভাইজারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়ে কয়েক দফায়। এ কারনে চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে বাসটি এলে পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচরে খাদে পড়ে যায়। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনাস্থলেই সুপার ভাইজার ও এক বাস যাত্রী নিহত হন এবং অন্তত ১০/১৫ জন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনায় যান চলাচল বন্ধ হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। মরদেহ উদ্ধার পূর্বক এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় আটক ৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চট্রগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে র্যাব-৯ এর সদস্য। বুধবার (৮ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত হেলিম ভূইয়ার ছেলে এজহারনামীয় আসামি জাকির হোসেন জাকু (৪৮), একই গ্রামের হাজী আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), উপজেলার চাওড়া দৌলতবাড়ী আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন (৩৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে এবং বর্তমান চাওড়া দৌলতবাড়ীর বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ মার্চ রাতে ইসলামি বক্তা মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নুরী (৩৮) তার সহযোগী একজনসহ বিজয়নগর এলাকার দৌলতবাড়ী দরবার শরীফের মাহফিল শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জেলার আখাউড়া উত্তর ইউপির রামধননগর গ্রামের রেলক্রসিং এর কাছে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ করে।
আসামিরা মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে জিহ্বা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গুরুতর জখম হয়। তারা সাথে থাকা ব্যক্তিকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনায় মাওলানা শরীফের চাচা মো. আব্দুল বাছির ভূইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে জোরদার করে। র্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত ৪ জনকে চট্টগ্রাম জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান হতে এজাহারনামীয় একজনসহ ৪ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান ইসলামি বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নুরীর সেদিনের ওরসের বক্তব্যের কিছু অংশ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি এবং সেই বক্তব্যে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং মাওলানা শরীফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।
যার ফলশ্রুতিতে, মাওলানা শরীফ ওরস থেকে ফেরার পথে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার ফলে তার জিহ্বা কেটে যায়। এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তে স্পষ্ট হবে। এসময় র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ যমুনা টিভি
বিরামপুরে এনজিও ভবন ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন


মোঃ সাইফুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
বিরামপুরে হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এইচ.আর.ডি.এফ) নামের একটি এনজিও’র অফিস ভাংচুর ও সম্পদ বিক্রির প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারীসহ স্থানীয় সদস্যরা শনিবার (২৫ মার্চ) মানববন্ধন করেছে।
শহরের বেলডাঙ্গায় সংস্থার কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধনে সংস্থার সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা বলেন, পৌল চারোয়া তিগ্যা ১৯৯১ সালে সংস্থাটি চালু করেন। সেখানে সঞ্চয়, ঋণদান, কমিউিনিটি ডেভেলপমেন্ট ও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন্ ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠাতা মারা গেলে সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সংস্থার তৎকালীন পরিচালক লরেন্স বেক ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে সংস্থার বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করেছেন এবং বর্তমানে বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলছেন। এর প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারী থানায় অভিযোগ করেছেন এবং শনিবার মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি বাদল তিগ্যা, সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা, দাতা নিকোলাস মিঞ্জ, কোষাধ্যক্ষ রজন মÐলসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
শাকিবকে ধর্ষণ অভিযোগ থেকে বাঁচাতে দুই সাবেক স্ত্রীর চেষ্টা


ঢালিউডের কিং শাকিব খান। তার বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচাতে দুই সাবেক স্ত্রী এক হয়ে লড়ছেন। সম্প্রতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং করতে গিয়ে এক নারী প্রযোজককে ধর্ষণ করেছেন।
২০১৭ সালের ঘটনা হলেও এটি নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়ছে সম্প্রতি। কেননা এই সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ সম্প্রতি দেশে এসে শাকিবের বিরুদ্ধে কতগুলো লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার মধ্যে একটি ধর্ষণের অভিযোগ।
আকস্মিকভাবে দেশের শীর্ষ নায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ভক্তরা অবাক হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, মিডিয়াতেও কয়েক দিন ধরে আলোচিত বিষয় এটি। রহমত উল্লাহর অভিযোগ, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ করেন শাকিব খান। এরপর তিনি দেশে পালিয়ে আসেন।
রহমত উল্লাহর এই অভিযোগের পরে শাকিব খান তার সঙ্গে মীমাংসার জন্য ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন। এই মীমাংসার চেষ্টা করেন অপু বিশ্বাস, যিনি শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী।
মিডিয়াপাড়ায় এ খবর বেশ চর্চিত হতে থাকে। অনেকেই অপু বিশ্বাসের উদারতার কথা বলেন। আবার কেউ কেউ অপু বিশ্বাসের এমন উদ্যোগকে সহজভাবে নেননি। তবে শাকিবের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের এমন পদক্ষেপের পর আরেক সাবেক স্ত্রী বুবলীও পিছিয়ে নেই।
দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শবনম ইয়াসমিন বুবলী শাকিবের পক্ষ নিয়ে একের পর এক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। শাকিব খানের পক্ষে কতগুলো উপাত্ত প্রকাশ করছেন, যা শাকিবকে ‘ক্লিনচিট’ দিতে সহায়তা করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এমন অনেকগুলো প্রশ্ন তুলে আনছেন বুবলী, যেসব দিয়ে শাকিব খানকে একজন ‘ক্লিন ইমেজের অভিনেতা’ হিসেবেই দেখা যায়।
যে মেয়েকে শাকিব ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই মেয়ে মধ্যরাতে শাকিবের রুমে কী করছিলেন―এমন প্রশ্নও করেন বুবলী। যার অর্থ দাঁড়ায়, যদিও শারীরিক সম্পর্কের মতো বিষয় ঘটে তাহলে সেটা স্বাভাবিক ও সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে।
অর্থাৎ শাকিবের পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে শাকিবের বিপক্ষে যায় এমন কতগুলো বিষয়ও সহজে মেনে নিচ্ছেন শাকিব খানের সাবেক দুই স্ত্রী। তবে অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, যদি স্বামীর প্রতি এত ভালোবাসা তাহলে শাকিব অপুকে ডিভোর্স করল কেন? আর অপুকে ডিভোর্স করে বুবলীকে বিয়ে করল, তাহলে বুবলীকেও ডিভোর্স করল কেন? এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।
গত বুধবার শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর লেখা অভিযোগে রহমত উল্লাহ লিখেছেন, ‘তিনি (শাকিব খান) আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এ ঘটনার পর তিনি ও তার পরিবার সামাজিকভাবে যে গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।’
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলে আটক


শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ছেলের মারপিটে চায়না খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সলঙ্গার নাইমুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত বৃদ্ধা নাইমুড়ি এলাকার মৃত আলহ্বাজ আলীর স্ত্রী।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাসড়কে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে শরিফুলের একটি ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। এ নিয়ে তার মা চায়না খাতুনের সাথে শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শরিফুল তার মাকে বেধরম মারপিট করে আহত করে। পরে নিহতের নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং রাত দশটার দিকে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে শরিফুলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৮/০৩/২০২৩