গাইবান্ধা জেলা অসহায় শিশুদের শিক্ষা দেন ১ টাকার মাস্টার।


ম্যাট্রিকের গণ্ডি পেরিয়ে আর্থিক ভাবে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় লুৎফর রহমানের। নিজের সেই আক্ষেপ লুকিয়ে শিক্ষার আলো ছড়ানোর শপথ নেন তিনি। সেই ১৯৭২ সাল থেকে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের গাছতলা, আঙিনা কিংবা বাঁধের ধারে পাঠ দিচ্ছেন এই শিক্ষানুরাগী।
পাঁচ দশকের শিক্ষকতা জীবনে লুৎফর রহমান এভাবে পড়িয়েছেন ৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে।
লুৎফর রহমান প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হেঁটে আবার কখনও সাইকেলে চড়ে ঘুরে ঘুরে শিশুদের পড়ান। প্রথম দিকে পড়াতেন বিনা পারিশ্রমিকে। একসময় নাম মাত্র গুরুদক্ষিণা হিসেবে নেয়া শুরু করেন মাত্র এক টাকা। আর সেই থেকে এলাকায় তিনি পরিচিতি পান ‘এক টাকার মাস্টার’ হিসেবে।
গাইবান্ধা শহর থেকে বালাসীঘাট সড়ক ধরে সাত কিলোমিটারের পথ বাগুড়িয়া গ্রামের। সেখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ধারে টিনের ঘরে বসবাস লুৎফর রহমানের। গ্রামটির ভিন্ন কোনো বিশেষত্ব না থাকলেও ‘এক টাকার মাস্টার’ লুৎফর রহমানের বদৌলতে পুরো জেলায় পরিচিতি পেয়েছে গ্রামটি
১৯৫০ সালের ৭ আগস্ট গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া গ্রামে জন্ম লুৎফর রহমানের। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। ১৯৭২ সালে ফুলছড়ি উপজেলার গুণভরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। তবে সে সময় আর্থিক ভাবে কলেজে পা রাখতে পারেননি তিনি।
উড়িয়াতে থাকাকালে ৮০ বিঘা জমি, পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু সবই ছিল লুৎফরদের। কিন্তু ১৯৭৪ সালের বন্যা ও নদীভাঙনে সব হারিয়ে নিঃস্ব হন তারা। পরে আশ্রয় নেন বাগুড়িয়া গ্রামের ওয়াপদা বাঁধে। স্ত্রী লতিফুল বেগমসহ দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার তার। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। বড় ছেলে লাভলু এসএসসি পাস করার পর আর্থিক ভাবে আর পড়তে পারেনি। এখন অটোরিকশা চালান তিনি। ছোট ছেলে মশিউর রহমান একটি মাদ্রাসা থেকে মাস্টার্স সমমানের (দাওরা) পাস করে বেকার রয়েছেন।
গ্রামবাসী জানান, ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হন লুৎফর রহমান। এরপর পায়ে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে পথ পাড়ি দেন তিনি। পাশের বাগুড়িয়া, মদনেরপাড়া, পুলবন্দি, চন্দিয়া, ঢুলিপাড়া, কঞ্চিপাড়া, মধ্যপাড়া ও পূর্বপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী পড়ান।
লুৎফর রহমানের লক্ষ্য প্রাথমিকে ঝরে পড়াসহ ভাঙনকবলিত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান। অভিভাবকদের বুঝিয়ে বই, খাতা, কলমসহ তাদের নিয়ে কখনো রাস্তার ধারে, বাঁধে কিংবা বসে পড়েন গাছতলায়। বর্তমানে তার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০।
লুৎফর রহমান ২০১৯ সালের জুনে শহরের স্টেশন এলাকার জুম বাংলাদেশ স্কুলে পাঠদান শুরু করেন। সেখানেও বিনা পয়সায় পড়ানো হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের।
লুৎফর রহমান জানান, যমুনা নদীবেষ্টিত ওয়াপদা বাঁধের চারপাশের গ্রামগুলো বন্যাকবলিত। বেশির ভাগ মানুষ গরিব। সন্তানদের পড়াতে অনীহা দেখান অভিভাবকরা। সে জন্য নামমাত্র গুরুদক্ষিণা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা শেখান তিনি। ১৯৭২ সালে ম্যাট্রিক পাস করার পর আর্থিক ভাবে তিনি কলেজের বারান্দায় পা রাখতে পারেননি। এই না পাওয়ার বেদনা ভুলতেই শিক্ষার্থী পড়ান।
তিনি আরও বলেন, ‘এসএসসি পাস করার পর সব জমাজমি নদীতে চলি গেল। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম ১৯৭৪ সালের অকালের মধ্যে ছেলেরা পড়তে পারবি না। এদের শিখেলে কাজে লাগবি। কেউ জজ হবি; কেউ ম্যাজিস্ট্রেট হবি। তাদের মুখে হাসি ফুটবি।’
দুর্ভিক্ষের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তখন তো অভাব খুব। প্রথমে বিনা পয়সায় পড়াছি। পরে এক টাকা করি নিছি। এখনও যে যা দেয় তাই নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছাত্র অনেকেই ভালো ভালো জায়গায় গেছে। সরকারি ডাক্তার, প্রভাষক, কলেজের প্রিন্সিপালও হয়েছে। এসব মনে হলে, সব কষ্ট ভুলে যাই।’
মদনেরপাড়া গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জেসমিন খাতুন বলে, ‘লুৎফর স্যার অনেক আদর করে। বাড়িতে এসে পড়ায়। তার কাছে পড়তে ভালো লাগে।’
মধ্য বাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হোসনা বানু বলে, ‘আমি ওয়ান থেকে স্যারের কাছে পড়ি। স্যার খুব ভালো। স্যার অঙ্ক, বাংলা ও ইংরেজি সব বই পড়ায়।’
ঢুলিপাড়া গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জুয়েল মিয়া বলেন, ‘ক্লাস ওয়ান থেকে স্যারের কাছে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। স্যারের পড়ানোর পদ্ধতি ব্যতিক্রম। বহু সহপাঠী আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাক্তার-ইউএনও হয়েছে স্যারের ছাত্র।’
স্থানীয় সমাজকর্মী বদিয়াজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমরা বিখ্যাত কিছু দার্শনিকের নাম জানি। যেমন, প্লেটো, সক্রেটিস। তারা গ্রামগঞ্জে, হাটে-বাজারে গিয়ে মানুষদের সমাবেত করে জ্ঞান দান করতেন। ঠিক লুৎফর স্যারের পাঠদান পদ্ধতিটাও এ রকম।’
জুম বাংলাদেশ স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রমে শিক্ষকতা করেন যুবক মেহেদী হাসান। তিনি লুৎফর রহমানের নানা গুণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘স্যার এক টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী পড়ান। স্যারের বাড়তি আয় নেই। স্যারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাকে জুম বাংলাদেশ স্কুলে আনা হয়। এখান থেকে স্যারকে সম্মানীসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
লুৎফর রহমানের স্ত্রী লতিফুল বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী; তিনি এক টাকার মাস্টার হিসেবে পরিচয় (পরিচিতি)। দেশের ছেলেপেলে যেন টিপসই মুক্ত হতে পারে। অশিক্ষিত যাতে না থাকে। তিনি (লুৎফর রহমান) সব সময় এটা বলে।’
গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিক্ষার আলো ছড়ানো এই ফেরিওয়ালা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সম্মাননা পদক পেয়েছেন। তার নানা সুখ্যাতির কথা তুলে ধরে তার বড় ছেলে লাভলু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা এক টাকার মাস্টার। এটা শুনলেই গর্ববোধ করি। আমি চাই, আব্বার বাকি জীবনটাও এভাবেই কাটুক।’
লুৎফর রহমান মাস্টার সম্পর্কে গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ইদু বলেন, ‘লুৎফর স্যার একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। বর্তমান বাজারে এক টাকার মূল্য নেই; তবুও তিনি এতেই সন্তুষ্ট।’
শাকিবকে ধর্ষণ অভিযোগ থেকে বাঁচাতে দুই সাবেক স্ত্রীর চেষ্টা


ঢালিউডের কিং শাকিব খান। তার বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচাতে দুই সাবেক স্ত্রী এক হয়ে লড়ছেন। সম্প্রতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং করতে গিয়ে এক নারী প্রযোজককে ধর্ষণ করেছেন।
২০১৭ সালের ঘটনা হলেও এটি নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়ছে সম্প্রতি। কেননা এই সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ সম্প্রতি দেশে এসে শাকিবের বিরুদ্ধে কতগুলো লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার মধ্যে একটি ধর্ষণের অভিযোগ।
আকস্মিকভাবে দেশের শীর্ষ নায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ভক্তরা অবাক হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, মিডিয়াতেও কয়েক দিন ধরে আলোচিত বিষয় এটি। রহমত উল্লাহর অভিযোগ, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ করেন শাকিব খান। এরপর তিনি দেশে পালিয়ে আসেন।
রহমত উল্লাহর এই অভিযোগের পরে শাকিব খান তার সঙ্গে মীমাংসার জন্য ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন। এই মীমাংসার চেষ্টা করেন অপু বিশ্বাস, যিনি শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী।
মিডিয়াপাড়ায় এ খবর বেশ চর্চিত হতে থাকে। অনেকেই অপু বিশ্বাসের উদারতার কথা বলেন। আবার কেউ কেউ অপু বিশ্বাসের এমন উদ্যোগকে সহজভাবে নেননি। তবে শাকিবের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের এমন পদক্ষেপের পর আরেক সাবেক স্ত্রী বুবলীও পিছিয়ে নেই।
দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শবনম ইয়াসমিন বুবলী শাকিবের পক্ষ নিয়ে একের পর এক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। শাকিব খানের পক্ষে কতগুলো উপাত্ত প্রকাশ করছেন, যা শাকিবকে ‘ক্লিনচিট’ দিতে সহায়তা করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এমন অনেকগুলো প্রশ্ন তুলে আনছেন বুবলী, যেসব দিয়ে শাকিব খানকে একজন ‘ক্লিন ইমেজের অভিনেতা’ হিসেবেই দেখা যায়।
যে মেয়েকে শাকিব ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই মেয়ে মধ্যরাতে শাকিবের রুমে কী করছিলেন―এমন প্রশ্নও করেন বুবলী। যার অর্থ দাঁড়ায়, যদিও শারীরিক সম্পর্কের মতো বিষয় ঘটে তাহলে সেটা স্বাভাবিক ও সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে।
অর্থাৎ শাকিবের পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে শাকিবের বিপক্ষে যায় এমন কতগুলো বিষয়ও সহজে মেনে নিচ্ছেন শাকিব খানের সাবেক দুই স্ত্রী। তবে অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, যদি স্বামীর প্রতি এত ভালোবাসা তাহলে শাকিব অপুকে ডিভোর্স করল কেন? আর অপুকে ডিভোর্স করে বুবলীকে বিয়ে করল, তাহলে বুবলীকেও ডিভোর্স করল কেন? এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।
গত বুধবার শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর লেখা অভিযোগে রহমত উল্লাহ লিখেছেন, ‘তিনি (শাকিব খান) আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এ ঘটনার পর তিনি ও তার পরিবার সামাজিকভাবে যে গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।’
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলে আটক


শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ছেলের মারপিটে চায়না খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সলঙ্গার নাইমুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত বৃদ্ধা নাইমুড়ি এলাকার মৃত আলহ্বাজ আলীর স্ত্রী।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাসড়কে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে শরিফুলের একটি ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। এ নিয়ে তার মা চায়না খাতুনের সাথে শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শরিফুল তার মাকে বেধরম মারপিট করে আহত করে। পরে নিহতের নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং রাত দশটার দিকে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে শরিফুলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৮/০৩/২০২৩
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী’র বিক্ষোভ মিছিল


মোঃ মাইনুল ইসলাম
জামালপুর প্রতিনিধি
“হটাও দালাল, বাচাও ভূমি মালিক” এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ ও দালালদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে উপকার ভোগী সচেতন ভূমি মালিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রবিবার (১২মার্চ) সকালে চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে উপকার ভোগীরা, পরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে বেনুয়ারচর বাজার ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভূমি অফিসে এসে শেষ হয়।
এসময় এলাকাবাসীর বক্তব্যে বলেন, চরপুটিমারি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম যোগদান করার পর ভূমি অফিসকে দালাল মুক্ত ঘোষণা করায় দালালরা ক্ষিপ্ত হয়ে নায়েবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে ঝাড়ু মিছিলসহ নানান অপপ্রচার করেছে।
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। এবং অত্র ইউনিয়নের যোগদানের পর ভালো ভূমি সেবা দেওয়ার জন্য ঐ ইউনিয়নের সাধারণ উপকার ভোগীরা, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম’কে ফুলের মাল্য পড়িয়ে সংবর্ধনা দেন।
ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রকাশ্যে হত্যা


মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ,
ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কহিনূর মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।০৮ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামের সামী চৌধুরীর সঙ্গে কহিনূর মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের বাজেয়িদ, তারা মিয়া ও ইসমাইল কহিনূরকে ডেকে বায়েজিদের বাড়িতে নিয়ে য়ায়। সেখানে সামি চৌধুরীসহ তাদের সঙ্গে কহিনূরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, জানতে পেরেছি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে কহিনূর নামের ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূঞাপুরে আনন্দ টিভি’র পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


কোরবান আলী তালুকদার:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে “আনন্দ টিভির” পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন “আনন্দ টিভির” টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি আল আমিন শোভন। এ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পৌর শহরের উপজেলা চত্বর হয়ে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিকের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আখতার হোসেন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাসুদুল হক মাসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতি, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ মজিদ মিয়া, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা বদিউজ্জামান খান প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কিসলু, সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ন সম্পাদক জুলিয়া পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাহীন, ডিবিসি টেলিভিশনের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি সোহেল তালুকদার সহ ভূঞাপুর ও ঘাটাইলের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দরা আনন্দ টিভি’র ৫ বছরের কর্মকান্ড নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল সাফল্য কামনা করেন।