গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ২০২২-২০২৩ উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

গাইবান্ধায় গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে পৌরভবনে আয়োজিত বাজেট অনুষ্ঠানে রাজস্ব ও উন্নয়ন বরাদ্দে ৫৬ কোটি ৭৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি পৌর বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন আয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার এবং উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রস্তাবিত নিজস্ব রাজস্ব আয় ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার এবং উন্নয়ন আয় ধরা হয় ৫০ কোটি ২০ লাখ।
পৌর কাউন্সিলর ও ১ নং প্যানেল মেয়র শাহিন আকন্দ’র সঞ্চালনায় উন্মুক্ত বাজেট আলোচনায় বক্তারা পৌর মেয়রের সফলতা কামনার পাশাপাশি পৌর ট্যাক্স-কর আদায় শতভাগে উত্তীর্ণ, জনদুর্ভোগ কমিয়ে নাগরিক সেবা বৃদ্ধি, কর্মমুখী শিক্ষা, বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন, জনস্বাস্থ্য রক্ষা, মাদকমুক্ত পৌর সহ বিভিন্ন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাজেট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথির মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তুহিন হোসেন, গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এম এ মতিন মোল্লা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি এসআই সঞ্চয়, গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত বসির আহমেদ, গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব প্রিন্স, ব্যবসায়ী -ব্যাংক শাখার প্রতিনিধি ও প্রিণ্ট-ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বাজেটে উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ-সংস্কারে ১৮ কোটি; ড্রেন নির্মান-সংস্কার ১০ কোটি; স্যানিটেশন-টিউবয়ের স্থাপন ও পানি সরবাহে ১০ লাখ; ধর্মীয়-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ৯০ লাখ; মশক নিধনে ১০ লাখ; সোলার বাতি ও বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়-স্থাপন ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
সহায়তা কার্যক্রমে আর্থিক সাহায্য (শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও ত্রাণ) ১২ লাখ; ঈমাম ও পুরোহিতদের সম্মানীভাতা ভাতা বাবদ ৫ লাখ বরাদ্দ রাখা হয়।
সংস্থাপন ব্যয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ২ কোটি ৭৪ লাখ মেয়র-কাউন্সিলরদের ভাতা ২২ কোটি ৪০ লাখ; দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরী বাবদ ৮০ লাখ ও আপ্যায়ন ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হয় ১২ লাখ টাকা।
এছাড়াও জনসেবামূলক কাজের মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও অন্যান্য দিবস পালনে ১৫ লাখ; রাজস্ব অর্থায়নে ক্ষুদ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ লাখ ও করোনা প্রতিরোধে বরাদ্দ রাখা হয় ১০ লাখ টাকা।
একটি নিখোঁজ সংবাদ


মোঃ মাইনুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রাম থেকে মনোয়ার হোসেন খাঁন নাসিম নামের এক ব্যক্তি হারিয়ে গেছেন। তাঁর পিতার নাম মৃত: আবু সিদ্দিক খান এবং মাতা: মৃত- মনোয়ারা বেগম। পরিবারের স্বজনরা জানান, নিখোঁজ ব্যক্তির অনেকটা স্মরণ শক্তি কম। তিনি শুধু নিজের নাম ও যাত্রাবাড়ির কোনাপাড়া এলাকার নাম বলতে পারেন। গাজীপুর কাপাশিয়ায় বেড়াতে গিয়ে গতকাল সকালে আনুমানিক সকাল ৮ ঘটিকায় বের হলে পুনরায় আর বাসায় ফিরে আসেননি।
এ ঘটনায় কাপাশিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন নিখোঁজ মনোয়ার হোসেন খাঁন ওরফে নাসিম এর স্বজনরা। উপরোক্ত ছবির ব্যক্তির কেউ খোঁজ পেলে আন্তরিকতার সাথে জানানোর অনুরোধ করছি।
পরিবারের মোবাইল নাম্বার
০১৯৯০-২৪৮৪৮৮
মাতুয়াইল, কোনাপাড়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।
ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রকাশ্যে হত্যা


মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ,
ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কহিনূর মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।০৮ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামের সামী চৌধুরীর সঙ্গে কহিনূর মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের বাজেয়িদ, তারা মিয়া ও ইসমাইল কহিনূরকে ডেকে বায়েজিদের বাড়িতে নিয়ে য়ায়। সেখানে সামি চৌধুরীসহ তাদের সঙ্গে কহিনূরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, জানতে পেরেছি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে কহিনূর নামের ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোবিন্দগঞ্জে মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার সদস্যর মুল হোতা আটক


এম টি আই আহাদ মাহমুদ:- স্টাফ রিপোর্টার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার সদস্যর মুল হোতা সুজ কে আটক করেছে থানা পুলিশ। উপজেলা মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। দেশ যখন ডিজিটাল হচ্ছে তখন অসাধু কিছু ব্যাক্তি ডিজিটালাডেক বাধা গ্রস্ত করার জন্য সাধারন জনগনের মাঝে একটা ভিতি শৃষ্টি করার লক্ষে অসৎ উপায়ে মানুষকে ঠকিয়ে অন্যর একাউন্টের টাকা নিজের একাউন্টে পার করছে। সাধারন মানুষ প্রতারিত হয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিকে দোষারপ করছে।উপজেলায় হ্যাকার চক্রকে নির্মূল করার জন্য একটি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী সমিতির গঠন করা হয়েছে। সমিতি গঠনের মধ্যদিয়ে ডিজিটাল ব্যাংক সেবার সাথে জরিত সকলকে একত্রিত করে হ্যাকার সদস্যদের ধরার জন্য চেষ্টা করছে । বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধি,বয়স্ক,বেধবা ভাতা দিচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হ্যাকারা এই সুবিধা ভোগীকে ঠকিয়ে নিজের একাউন্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সুবিধা ভোগীরা হতাশ হয়ে সমাজসেবা অফিসে এসে ভির করছে এবং বলছে নিদিষ্ট পরিমান ভাতা আসছে না। ফলে বিভ্রান্তিতে পরছে তারা। কিছু দিন পূর্বে এ উপজেলায় জিনের বাদশার প্রচলন ছিল ঠিক তেমনি বাড়ছে হ্যাকারের সংখ্যা। আটক কৃত হ্যাকার সদস্যর মুল হোতা সুজন হলেন চকশিবপুর গ্রামের আঃ জলিল মিয়ার ছেলে। বিভিন্ন সময় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ীক সমিতি, হ্যাকারদের আটক করে থানায় সোর্পদ করে। এ বিষয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ীক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, আমরা হ্যাকাদেরকে ধরার চেষ্টা করছি। ইতি মধ্য কয়েক জন হ্যাকারকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে সক্ষম হয়েছি তবে আমরা হতাশ আইনের ফাঁকদিয়ে তারা দ্রুত বেড়ীয়ে এসে আবার এই কাজ করছে। এই হ্যাকারদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন তিনি। গোবিন্দগঞ্জ থানায় হ্যাকারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ভূঞাপুরে আনন্দ টিভি’র পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


কোরবান আলী তালুকদার:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে “আনন্দ টিভির” পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন “আনন্দ টিভির” টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি আল আমিন শোভন। এ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পৌর শহরের উপজেলা চত্বর হয়ে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিকের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আখতার হোসেন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাসুদুল হক মাসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতি, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ মজিদ মিয়া, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা বদিউজ্জামান খান প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কিসলু, সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ন সম্পাদক জুলিয়া পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাহীন, ডিবিসি টেলিভিশনের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি সোহেল তালুকদার সহ ভূঞাপুর ও ঘাটাইলের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দরা আনন্দ টিভি’র ৫ বছরের কর্মকান্ড নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল সাফল্য কামনা করেন।
ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় আটক ৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চট্রগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে র্যাব-৯ এর সদস্য। বুধবার (৮ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত হেলিম ভূইয়ার ছেলে এজহারনামীয় আসামি জাকির হোসেন জাকু (৪৮), একই গ্রামের হাজী আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), উপজেলার চাওড়া দৌলতবাড়ী আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন (৩৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে এবং বর্তমান চাওড়া দৌলতবাড়ীর বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ মার্চ রাতে ইসলামি বক্তা মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নুরী (৩৮) তার সহযোগী একজনসহ বিজয়নগর এলাকার দৌলতবাড়ী দরবার শরীফের মাহফিল শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জেলার আখাউড়া উত্তর ইউপির রামধননগর গ্রামের রেলক্রসিং এর কাছে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ করে।
আসামিরা মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে জিহ্বা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গুরুতর জখম হয়। তারা সাথে থাকা ব্যক্তিকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনায় মাওলানা শরীফের চাচা মো. আব্দুল বাছির ভূইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে জোরদার করে। র্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত ৪ জনকে চট্টগ্রাম জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান হতে এজাহারনামীয় একজনসহ ৪ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান ইসলামি বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নুরীর সেদিনের ওরসের বক্তব্যের কিছু অংশ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি এবং সেই বক্তব্যে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং মাওলানা শরীফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।
যার ফলশ্রুতিতে, মাওলানা শরীফ ওরস থেকে ফেরার পথে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার ফলে তার জিহ্বা কেটে যায়। এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তে স্পষ্ট হবে। এসময় র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ যমুনা টিভি