ঘুরে দেখা কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহের কুঠিবাড়ি


মোঃ কামরুজ্জামান, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
একটা কথা প্রায়ই শুনি, সেটা হচ্ছে ‘কবির অমর’। এ কথাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সত্য! লেখার মাধ্যমে বেঁচে আছেন ও থাকবেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কবিগুরু জীবিত না থাকলেও তার স্মৃতি হিসেবে এখনো পর্যটকদের কাছে সমাদৃত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি। আর এ কারণেই হয়ত বাংলা সাহিত্যের এই কিংবদন্তীর স্মৃতি দেখতে শিলাইদহের কুঠিবাড়ীতে প্রতিনিয়তই ভিড় জমে আমাদের মত শত শত রবীন্দ্রপ্রেমীদের।
মূলত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার একটি গ্রাম শিলাইদহ। গ্রামটির পূর্ব নাম ছিল কসবা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার যৌবনকালের একটি উল্লেখযোগ্য সময় এখানে কাটিয়েছেন। শিলাইদহ কুঠিবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। কুমারখালী শিলাইদহ সারা বিশ্বে পরিচিত পাবার কারণ যে কবিগুরু- তা এখানে না আসলে আমার ও বিশ্বাসই হতো না। কবিগুরু আর কুমারখালী শিলাইদহ স্মৃতির আবহে মিলেমিশে একাকার।
রবীন্দ্রনাথ জমিদারির দায়িত্ব নেয়ার পর স্থায়ীভাবে শিলাইদহে বসবাস শুরু করেন। কুমারখালীর বিশেষত্ব হচ্ছে ছায়া সুশীতল আর শান্ত পরিবেশ। এ কারণেই হয়ত সাহিত্যচর্চার জন্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বারবার ফিরে আসতেন এই কুঠিবাড়িতে। এখানে বসে জমিদারী পরিচালনা সহ সাহিত্যচর্চা করতেন তিনি।
ঘুরে দেখে ও বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারলাম, ১৮০৭ সালে রামলোচন ঠাকুরের উইল সূত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তীতে ১৮৮৯ সালে জমিদারি দেখাশোনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে জমিদার হয়ে আসেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহের এই কুঠিবাড়ি থেকেই ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনা করেন। প্রায় ৩৩ বিঘা জমি নিয়ে কুঠিবাড়ির তিন তলাবিশিষ্ট এ বাড়িতে রয়েছে ১৭টি কক্ষ। এসব কক্ষ ও বারান্দাজুড়ে প্রদর্শনীর জন্য রয়েছে কবির ব্যবহৃত একটি পালঙ্ক, লেখার টেবিল, ইজিচেয়ার, নদীতে চলাচলের দুইটি বোট ‘চঞ্চল’ ও ‘চপলা’পালকি, ঘাসকাটার যন্ত্র, ব্যবহৃত তলোয়ার, পানিশোধন যন্ত্র, বিভিন্ন সময়ে কবিকে ঘিরে তোলা আলোকচিত্র, কবিগুরুর নিজ হাতে আঁকা ছবি ইত্যাদি।
কুঠিবাড়ির চারপাশে রয়েছে আম, কাঠাঁলসহ চিরসবুজ গাছ ও ফুলের বাগান। কবি যে পুকুরপাড়ে বসে কবিতা লিখতেন, সেখানে আছে সেই সময়ের লাগানো বকুলগাছ। মনোরম পরিবেশের এই কুঠিবাড়ি চত্বরে যে-কারো সারা দিন থাকতে ইচ্ছে করবে।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলে আটক


শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ছেলের মারপিটে চায়না খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সলঙ্গার নাইমুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত বৃদ্ধা নাইমুড়ি এলাকার মৃত আলহ্বাজ আলীর স্ত্রী।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাসড়কে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে শরিফুলের একটি ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। এ নিয়ে তার মা চায়না খাতুনের সাথে শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শরিফুল তার মাকে বেধরম মারপিট করে আহত করে। পরে নিহতের নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং রাত দশটার দিকে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে শরিফুলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৮/০৩/২০২৩
ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রকাশ্যে হত্যা


মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ,
ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কহিনূর মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।০৮ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামের সামী চৌধুরীর সঙ্গে কহিনূর মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের বাজেয়িদ, তারা মিয়া ও ইসমাইল কহিনূরকে ডেকে বায়েজিদের বাড়িতে নিয়ে য়ায়। সেখানে সামি চৌধুরীসহ তাদের সঙ্গে কহিনূরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, জানতে পেরেছি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে কহিনূর নামের ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোবিন্দগঞ্জে মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার সদস্যর মুল হোতা আটক


এম টি আই আহাদ মাহমুদ:- স্টাফ রিপোর্টার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার সদস্যর মুল হোতা সুজ কে আটক করেছে থানা পুলিশ। উপজেলা মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। দেশ যখন ডিজিটাল হচ্ছে তখন অসাধু কিছু ব্যাক্তি ডিজিটালাডেক বাধা গ্রস্ত করার জন্য সাধারন জনগনের মাঝে একটা ভিতি শৃষ্টি করার লক্ষে অসৎ উপায়ে মানুষকে ঠকিয়ে অন্যর একাউন্টের টাকা নিজের একাউন্টে পার করছে। সাধারন মানুষ প্রতারিত হয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিকে দোষারপ করছে।উপজেলায় হ্যাকার চক্রকে নির্মূল করার জন্য একটি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী সমিতির গঠন করা হয়েছে। সমিতি গঠনের মধ্যদিয়ে ডিজিটাল ব্যাংক সেবার সাথে জরিত সকলকে একত্রিত করে হ্যাকার সদস্যদের ধরার জন্য চেষ্টা করছে । বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধি,বয়স্ক,বেধবা ভাতা দিচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হ্যাকারা এই সুবিধা ভোগীকে ঠকিয়ে নিজের একাউন্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সুবিধা ভোগীরা হতাশ হয়ে সমাজসেবা অফিসে এসে ভির করছে এবং বলছে নিদিষ্ট পরিমান ভাতা আসছে না। ফলে বিভ্রান্তিতে পরছে তারা। কিছু দিন পূর্বে এ উপজেলায় জিনের বাদশার প্রচলন ছিল ঠিক তেমনি বাড়ছে হ্যাকারের সংখ্যা। আটক কৃত হ্যাকার সদস্যর মুল হোতা সুজন হলেন চকশিবপুর গ্রামের আঃ জলিল মিয়ার ছেলে। বিভিন্ন সময় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ীক সমিতি, হ্যাকারদের আটক করে থানায় সোর্পদ করে। এ বিষয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ীক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, আমরা হ্যাকাদেরকে ধরার চেষ্টা করছি। ইতি মধ্য কয়েক জন হ্যাকারকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে সক্ষম হয়েছি তবে আমরা হতাশ আইনের ফাঁকদিয়ে তারা দ্রুত বেড়ীয়ে এসে আবার এই কাজ করছে। এই হ্যাকারদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন তিনি। গোবিন্দগঞ্জ থানায় হ্যাকারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ভূঞাপুরে আনন্দ টিভি’র পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


কোরবান আলী তালুকদার:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে “আনন্দ টিভির” পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন “আনন্দ টিভির” টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি আল আমিন শোভন। এ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পৌর শহরের উপজেলা চত্বর হয়ে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিকের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আখতার হোসেন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাসুদুল হক মাসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতি, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ মজিদ মিয়া, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা বদিউজ্জামান খান প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কিসলু, সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ন সম্পাদক জুলিয়া পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাহীন, ডিবিসি টেলিভিশনের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি সোহেল তালুকদার সহ ভূঞাপুর ও ঘাটাইলের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দরা আনন্দ টিভি’র ৫ বছরের কর্মকান্ড নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল সাফল্য কামনা করেন।
একটি নিখোঁজ সংবাদ


মোঃ মাইনুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রাম থেকে মনোয়ার হোসেন খাঁন নাসিম নামের এক ব্যক্তি হারিয়ে গেছেন। তাঁর পিতার নাম মৃত: আবু সিদ্দিক খান এবং মাতা: মৃত- মনোয়ারা বেগম। পরিবারের স্বজনরা জানান, নিখোঁজ ব্যক্তির অনেকটা স্মরণ শক্তি কম। তিনি শুধু নিজের নাম ও যাত্রাবাড়ির কোনাপাড়া এলাকার নাম বলতে পারেন। গাজীপুর কাপাশিয়ায় বেড়াতে গিয়ে গতকাল সকালে আনুমানিক সকাল ৮ ঘটিকায় বের হলে পুনরায় আর বাসায় ফিরে আসেননি।
এ ঘটনায় কাপাশিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন নিখোঁজ মনোয়ার হোসেন খাঁন ওরফে নাসিম এর স্বজনরা। উপরোক্ত ছবির ব্যক্তির কেউ খোঁজ পেলে আন্তরিকতার সাথে জানানোর অনুরোধ করছি।
পরিবারের মোবাইল নাম্বার
০১৯৯০-২৪৮৪৮৮
মাতুয়াইল, কোনাপাড়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।