নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন।


আজ ১৫ ই আগস্ট, রোজ সোমবার। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশ স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট আজকের এই দিনে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী কুচক্রে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্য সহ আরো বেশ কয়েকজন নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে নিহত হন। রেহাই পায়নি সাত বছরের শেখ রাসেল। পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড এই ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট।
এই হত্যাকান্ডে বাঙালি হিসেবে আমরা লজ্জিত। বিবেকের কাছে আমরা পরাজিত।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য ইনডমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে আরেক কলঙ্ক সৃষ্টি করা হয় এই বাংলার মাটিতে।
অবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া,জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলার মাটিতে সংঘটিত হয়েছে এবং ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনের রায়ও বাস্তবায়ন হয়েছে।
তাই আজকের এই ১৫ আগস্ট যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে পালনের উদ্দেশ্যে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সারা দিনব্যাপী বিশাল কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এর ধারাবাহিকতার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা জাতীয় সংগীতের সাথে অর্ধ নমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর কালো ব্যাচ ধারণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকার সময় নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত স্মারক-৭১ এ পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশগ্রহণ করে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে নাগরপুরের ইতিহাসের স্মরণকালের সর্বোচ্চ বড় শোক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সকাল ১১ ঘটিকার সময় সরকারি যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সফল সভাপতি, উদীয়মান ব্যক্তিত্ব, মেধাবী নেতৃত্ব, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী নেতৃবৃন্দদের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিপাহশালার বিশ্বস্ত সৈনিক জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম।
অদ্যকার আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার তিন তিনবারের একমাত্র নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান, অনলবর্ষী বক্তা, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ এর সাবেক সফল আহবায়ক, নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বর্তমান সময়ে নাগরপুর উপজেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে জননেতা মোঃ কুদরত আলী।
উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সহ-সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্ব রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ কৃষকলীগ এর সাবেক সহ-সভাপতি, একসময় ডাকসুর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক, তুখোর সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাডভোকেট কাজী আনিসুল হক বুলবুল।
আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি বাবু গোপাল চন্দ্র সাহা ও মতিয়ার রহমান মতি।
উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আলহাজ্ব খুরশিদ আলম বাবুল। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য, সাবেক অধ্যাপক বাবু লক্ষীকান্ত সাহা।
আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুস সবুর, অন্যতম যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাজমুল হক তপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ খালিদ হোসেন খালিদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ভিপি বি এম এম জহুরুল আমিন, শিক্ষা ও মানব কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিশেষ করে মামুদনগর ইউনিয়ন এর নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান শেখ জজ কামাল বিশাল জনবহর নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন অদ্যকার আলোচনা সভায়।
উল্লেখ্য নাগরপুর উপজেলায় স্মরণকালের ইতিহাসে বিশাল শোক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় আজ নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে।
উক্ত আলোচনা সভায় সকল বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনাদর্শ এবং ১৫ ই আগস্ট এর নির্মম ইতিহাস সকলের কাছে তুলে ধরেন।
আলোচনা সভার সমাপনী বক্তব্যে আদ্যকার অনুষ্ঠানের সভাপতি ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম বলেন, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ বিগত সময় ঐক্যবদ্ধভাবে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রাম সহ জাতীয় অনুষ্ঠান গুলো সম্পাদন করে আসছে। আজও ঐক্যবদ্ধতার আরেকটি প্রমাণ নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থাপন করল। আমরা যে যে অবস্থানেই থাকি না কেন আগামী ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল -৬ নাগরপুর দেলদুয়ার থেকে নৌকা মার্কার নমীনি যেই হোক আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে টাঙ্গাইল-৬ নাগরপুর দেলদুয়ারে নির্বাচিত করে উপহার প্রদান করব, ইনশাল্লাহ। শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ, তিনি যেন তৃণমূল নেতাকর্মীর মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামীর নৌকা মার্কার মনোনয়নের জন্য বিশেষ বিবেচনা করেন।
আজকে যে সকল নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ডাকে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে এত সুন্দর এবং সাফল্যমন্ডিত করে তুলেছেন তাদের সকলকে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই।
সকলকে ধন্যবাদ।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।
এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারে নিহত সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায়, দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


শাকিল আহমেদ জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
১৯ মার্চ ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের অহংকার- সম্প্রীতীর বাংলাদেশ, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৯ মার্চ ) বিকেল ৫ টায় সদর উপজেলা পরিষদের মুজিবুর রহমান ঢালী
স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
এস এম সোলাইমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারতের কলকাতা প্রেসক্লাবের
সভাপতি স্নেহাশিস সুর, কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস
কমিউনিকেশন ও ভিডিওগ্রাফির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. দেবজ্যোতি
চন্দ্র, কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোঅর্ডিনেটর গণজ্ঞাপন বিভাগের
অধ্যাপক ডঃ সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহবায়ক ও
সদস্য বাংলা ওয়ার্ল্ডের বিদ্যুৎ মজুমদার।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোমেন আহমেদ
চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা, রাজা চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের
সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনরা।
শাকিল আহমেদ ,,
জয়পুরহাট
মোবাইল -০১৭৩৩১৬৭৭১৪,
শাকিবকে ধর্ষণ অভিযোগ থেকে বাঁচাতে দুই সাবেক স্ত্রীর চেষ্টা


ঢালিউডের কিং শাকিব খান। তার বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচাতে দুই সাবেক স্ত্রী এক হয়ে লড়ছেন। সম্প্রতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং করতে গিয়ে এক নারী প্রযোজককে ধর্ষণ করেছেন।
২০১৭ সালের ঘটনা হলেও এটি নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়ছে সম্প্রতি। কেননা এই সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ সম্প্রতি দেশে এসে শাকিবের বিরুদ্ধে কতগুলো লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার মধ্যে একটি ধর্ষণের অভিযোগ।
আকস্মিকভাবে দেশের শীর্ষ নায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ভক্তরা অবাক হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, মিডিয়াতেও কয়েক দিন ধরে আলোচিত বিষয় এটি। রহমত উল্লাহর অভিযোগ, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ করেন শাকিব খান। এরপর তিনি দেশে পালিয়ে আসেন।
রহমত উল্লাহর এই অভিযোগের পরে শাকিব খান তার সঙ্গে মীমাংসার জন্য ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন। এই মীমাংসার চেষ্টা করেন অপু বিশ্বাস, যিনি শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী।
মিডিয়াপাড়ায় এ খবর বেশ চর্চিত হতে থাকে। অনেকেই অপু বিশ্বাসের উদারতার কথা বলেন। আবার কেউ কেউ অপু বিশ্বাসের এমন উদ্যোগকে সহজভাবে নেননি। তবে শাকিবের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের এমন পদক্ষেপের পর আরেক সাবেক স্ত্রী বুবলীও পিছিয়ে নেই।
দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শবনম ইয়াসমিন বুবলী শাকিবের পক্ষ নিয়ে একের পর এক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। শাকিব খানের পক্ষে কতগুলো উপাত্ত প্রকাশ করছেন, যা শাকিবকে ‘ক্লিনচিট’ দিতে সহায়তা করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এমন অনেকগুলো প্রশ্ন তুলে আনছেন বুবলী, যেসব দিয়ে শাকিব খানকে একজন ‘ক্লিন ইমেজের অভিনেতা’ হিসেবেই দেখা যায়।
যে মেয়েকে শাকিব ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই মেয়ে মধ্যরাতে শাকিবের রুমে কী করছিলেন―এমন প্রশ্নও করেন বুবলী। যার অর্থ দাঁড়ায়, যদিও শারীরিক সম্পর্কের মতো বিষয় ঘটে তাহলে সেটা স্বাভাবিক ও সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে।
অর্থাৎ শাকিবের পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে শাকিবের বিপক্ষে যায় এমন কতগুলো বিষয়ও সহজে মেনে নিচ্ছেন শাকিব খানের সাবেক দুই স্ত্রী। তবে অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, যদি স্বামীর প্রতি এত ভালোবাসা তাহলে শাকিব অপুকে ডিভোর্স করল কেন? আর অপুকে ডিভোর্স করে বুবলীকে বিয়ে করল, তাহলে বুবলীকেও ডিভোর্স করল কেন? এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।
গত বুধবার শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর লেখা অভিযোগে রহমত উল্লাহ লিখেছেন, ‘তিনি (শাকিব খান) আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এ ঘটনার পর তিনি ও তার পরিবার সামাজিকভাবে যে গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।’
ঘাটাইলে হত্যাকারীর শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ


মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ,
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত জেরে ব্যবসায়ী কূহিনূর মিয়া(৪৫) হত্যা কাণ্ডে জড়িত সামি চৌধুরীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ করেছেন নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ ) বিকেলে ধলাপাড়া-ঘাটাইল সড়কের গাঞ্জানা ব্রিজ মোড় এলাকার সড়কে অবস্থান নেন তারা। ঘন্টাব্যাপী স্থানীয় শত শত লোক সড়কে অবস্থানের পর আসামি গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করেন প্রশাসন।
এর আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ব্যবসায়ী কহিনূর মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে পরিবার । গেল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশ দাফন করা হয়নি।
এদিকে ঘটনার পর ওইদিন রাতে নিহতের ছেলে জুয়েল রানা বাদী হয়ে একই এলাকার খসরু চৌধুরীর ছেলে সামি চৌধুরী সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে । এছাড়া যারা সড়কে লাশ রেখে অবরোধ করেছেন তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলে আটক


শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ছেলের মারপিটে চায়না খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সলঙ্গার নাইমুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত বৃদ্ধা নাইমুড়ি এলাকার মৃত আলহ্বাজ আলীর স্ত্রী।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাসড়কে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে শরিফুলের একটি ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। এ নিয়ে তার মা চায়না খাতুনের সাথে শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শরিফুল তার মাকে বেধরম মারপিট করে আহত করে। পরে নিহতের নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং রাত দশটার দিকে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে শরিফুলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৮/০৩/২০২৩
বিরামপুরে এনজিও ভবন ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন


মোঃ সাইফুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
বিরামপুরে হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এইচ.আর.ডি.এফ) নামের একটি এনজিও’র অফিস ভাংচুর ও সম্পদ বিক্রির প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারীসহ স্থানীয় সদস্যরা শনিবার (২৫ মার্চ) মানববন্ধন করেছে।
শহরের বেলডাঙ্গায় সংস্থার কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধনে সংস্থার সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা বলেন, পৌল চারোয়া তিগ্যা ১৯৯১ সালে সংস্থাটি চালু করেন। সেখানে সঞ্চয়, ঋণদান, কমিউিনিটি ডেভেলপমেন্ট ও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন্ ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠাতা মারা গেলে সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সংস্থার তৎকালীন পরিচালক লরেন্স বেক ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে সংস্থার বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করেছেন এবং বর্তমানে বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলছেন। এর প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারী থানায় অভিযোগ করেছেন এবং শনিবার মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি বাদল তিগ্যা, সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা, দাতা নিকোলাস মিঞ্জ, কোষাধ্যক্ষ রজন মÐলসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।