ফাঁকা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ১১ লাখ টাকা


পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের একটি আবাসিক ভবনের মিটারে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ভবনে কেউ বসবাস না করলেও বিদ্যুৎ বিল এসেছে জরিমানাসহ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৭ টাকা!
আর ব্যবহার হয়েছে ৯০ হাজার ১৫০ ইউনিট।
বিল প্রস্তুত কারক আসমা ও এ জিএম অর্থ এর স্বাক্ষর রয়েছে বিলে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ঘটনাটি নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাটমোহরের পৌর এলাকা অধীর কুমার সরকারের বাড়ি এসে বিলটি দিয়ে যাওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এমন ভূতুড়ে বিল দেওয়ার প্রতিবাদ করলে রাতেই আরেকটি বিল দিয়ে যাওয়া হয়।
অধীর কুমার সরকার অনেক আগেই মারা গেছেন। তার সন্তানরা থাকেন ভারতে। বাড়িতে কেউ থাকেন না। এক প্রতিবেশী বাড়ির দেখাশোনা করেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ছয় মাস ধরে কোনো সদস্যই থাকেন না ওই বাড়িতে। এ রকম ভৌতিক বিল দেওয়া পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতির অফিসের জন্য নতুন কোনো বিষয় না। এমন ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে। এ অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে গ্রাহকের নাম, বাবার নাম, মোবাইল নম্বর ভুলে ভরা। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এ জি এম অর্থর এ বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় তিন লাখ গ্রাহক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার গিয়ে অধীর কুমার সরকারের জিরো পয়েন্ট বাড়ির ৪৭৬৬ নং হিসাবের সেপ্টেম্বর-২২ মাসের বিদ্যুৎ বিল দায়িত্বরত লোকের কাছে দেন। এ সময় বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মিটার রিডারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দেখছি বলে বিলের কপিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি দেওয়া হয়নি। পরে রাতেই আবার নতুন করে প্রিন্ট দেওয়া হয় বিল। তার আগে এ জি এম অর্থকে দিয়ে জোর করে আগের বিল নিয়ে নতুন বিল চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মিটার রিডার। সংশোধনের পর বিল এসেছে ৮৬৬ টাকা।
এ ব্যাপারে বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভুল স্বীকার করে দৈনিক আলোর সন্ধানকে জানান, মানুষই তো ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ- ১ এর জেনারেল ম্যানেজার আকমল হোসেন দৈনিক আলোর সন্ধানকে জানান, আমাদের চার লাখ গ্রাহক রয়েছে।
কখনো কেউ অভিযোগ করেনি। আর একটা আবাসিক বাড়িতে তো এত টাকা বিল হয় না। তবে ভুলটা আমাদের। আমরা স্বীকার করছি। ইচ্ছা করে তো কেউ ভুল করে না।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা মাত্র ৮৬৬ টাকা বিল তৈরি করে পুনরায় বিলটি দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই বাড়িতে এখন যিনি থাকেন, তিনি রিসিভ করেননি।
ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় আটক ৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চট্রগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে র্যাব-৯ এর সদস্য। বুধবার (৮ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত হেলিম ভূইয়ার ছেলে এজহারনামীয় আসামি জাকির হোসেন জাকু (৪৮), একই গ্রামের হাজী আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), উপজেলার চাওড়া দৌলতবাড়ী আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন (৩৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে এবং বর্তমান চাওড়া দৌলতবাড়ীর বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ মার্চ রাতে ইসলামি বক্তা মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নুরী (৩৮) তার সহযোগী একজনসহ বিজয়নগর এলাকার দৌলতবাড়ী দরবার শরীফের মাহফিল শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জেলার আখাউড়া উত্তর ইউপির রামধননগর গ্রামের রেলক্রসিং এর কাছে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ করে।
আসামিরা মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে জিহ্বা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গুরুতর জখম হয়। তারা সাথে থাকা ব্যক্তিকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনায় মাওলানা শরীফের চাচা মো. আব্দুল বাছির ভূইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে জোরদার করে। র্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত ৪ জনকে চট্টগ্রাম জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান হতে এজাহারনামীয় একজনসহ ৪ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান ইসলামি বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নুরীর সেদিনের ওরসের বক্তব্যের কিছু অংশ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি এবং সেই বক্তব্যে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং মাওলানা শরীফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।
যার ফলশ্রুতিতে, মাওলানা শরীফ ওরস থেকে ফেরার পথে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার ফলে তার জিহ্বা কেটে যায়। এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তে স্পষ্ট হবে। এসময় র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ যমুনা টিভি
ঘাটাইলে হত্যাকারীর শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ


মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ,
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত জেরে ব্যবসায়ী কূহিনূর মিয়া(৪৫) হত্যা কাণ্ডে জড়িত সামি চৌধুরীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ করেছেন নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ ) বিকেলে ধলাপাড়া-ঘাটাইল সড়কের গাঞ্জানা ব্রিজ মোড় এলাকার সড়কে অবস্থান নেন তারা। ঘন্টাব্যাপী স্থানীয় শত শত লোক সড়কে অবস্থানের পর আসামি গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করেন প্রশাসন।
এর আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ব্যবসায়ী কহিনূর মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে পরিবার । গেল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশ দাফন করা হয়নি।
এদিকে ঘটনার পর ওইদিন রাতে নিহতের ছেলে জুয়েল রানা বাদী হয়ে একই এলাকার খসরু চৌধুরীর ছেলে সামি চৌধুরী সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে । এছাড়া যারা সড়কে লাশ রেখে অবরোধ করেছেন তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিরামপুরে এনজিও ভবন ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন


মোঃ সাইফুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
বিরামপুরে হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এইচ.আর.ডি.এফ) নামের একটি এনজিও’র অফিস ভাংচুর ও সম্পদ বিক্রির প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারীসহ স্থানীয় সদস্যরা শনিবার (২৫ মার্চ) মানববন্ধন করেছে।
শহরের বেলডাঙ্গায় সংস্থার কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধনে সংস্থার সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা বলেন, পৌল চারোয়া তিগ্যা ১৯৯১ সালে সংস্থাটি চালু করেন। সেখানে সঞ্চয়, ঋণদান, কমিউিনিটি ডেভেলপমেন্ট ও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন্ ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠাতা মারা গেলে সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সংস্থার তৎকালীন পরিচালক লরেন্স বেক ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে সংস্থার বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করেছেন এবং বর্তমানে বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলছেন। এর প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারী থানায় অভিযোগ করেছেন এবং শনিবার মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি বাদল তিগ্যা, সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা, দাতা নিকোলাস মিঞ্জ, কোষাধ্যক্ষ রজন মÐলসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


শাকিল আহমেদ জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
১৯ মার্চ ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের অহংকার- সম্প্রীতীর বাংলাদেশ, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৯ মার্চ ) বিকেল ৫ টায় সদর উপজেলা পরিষদের মুজিবুর রহমান ঢালী
স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
এস এম সোলাইমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারতের কলকাতা প্রেসক্লাবের
সভাপতি স্নেহাশিস সুর, কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস
কমিউনিকেশন ও ভিডিওগ্রাফির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. দেবজ্যোতি
চন্দ্র, কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোঅর্ডিনেটর গণজ্ঞাপন বিভাগের
অধ্যাপক ডঃ সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহবায়ক ও
সদস্য বাংলা ওয়ার্ল্ডের বিদ্যুৎ মজুমদার।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোমেন আহমেদ
চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা, রাজা চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের
সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনরা।
শাকিল আহমেদ ,,
জয়পুরহাট
মোবাইল -০১৭৩৩১৬৭৭১৪,
বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নিহত ২।


মোঃ মিজান হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পরে যায় সুপারভাইজারসহ নিহত ২ আহত ১৯।
এতে আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে বরিশাল-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার কানুদাশকাঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। আহতদের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। পুলিশ ও আহতরা বাস যাত্রীরা জানান, বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে সকালে যাত্রা শুরু করে। বাস ছাড়ার পর থেকে চালক ও হেলপার সুপরভাইজারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়ে কয়েক দফায়। এ কারনে চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে বাসটি এলে পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচরে খাদে পড়ে যায়। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনাস্থলেই সুপার ভাইজার ও এক বাস যাত্রী নিহত হন এবং অন্তত ১০/১৫ জন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনায় যান চলাচল বন্ধ হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। মরদেহ উদ্ধার পূর্বক এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।