মমি তৈরিই পেশা, কাজ শেষ হলেই মৃত্যু


সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহল সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। মমতাজের বিরহ কাটিয়ে উঠতে পারেননি সম্রাট কোনোদিনও। ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে তৈরি করেছেন আগ্রার তাজমহল। সারাবিশ্বে যেটি ভালোবাসার নিদর্শন হয়েই আছে এখনো।
কথিত আছে, তাজমহলের নকশাকারী এবং কারিগরদের কাজ শেষ হওয়ার পর দুই হাত কেটে ফেলেছিলেন সম্রাট। দু’চোখও অন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা যেন এই নকশা কখনো নকল করতে না পারেন, এজন্য ২২ হাজার কারিগর ও ডিজাইনারের এমন হাল করেছিলেন তিনি।
তবে এই ঘটনা কতটুকু সত্য তা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে ইতিহাসে। কিন্তু এমনই নির্মম পরিণতি হতো মমি কারিগরদের ভাগ্যেও। মমি তৈরি যাদের পেশা ছিল, তাদের কাজ শেষ হওয়ার পর হত্যা করা হতো। এমন তথ্যই উঠে এসেছিল এক গবেষণায়।
মিশরের নাম শুনলেই প্রথমেই যে কথাটা সবার মাথায় আসে, তা হচ্ছে মমি। তবে জানেন কি? শুধু প্রাচীন মিশরেই নয়; চীন, ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের প্রাচীন মানুষ, গুয়াঞ্চস এবং ইনকাসহ দক্ষিণ আমেরিকার অনেক প্রাক-কলম্বিয়ান সমাজেও মমিকরণের প্রচলন ছিল। মিশরীয় সভ্যতারও এক হাজার বছর আগে উত্তর চিলি এবং দক্ষিণ পেরুর চিনচেরাতে মমির সংস্কৃতি চালু হয়।
অন্যদিকে মমি মানেই হচ্ছে মিশরের পিরামিডের কোনো গুপ্তঘর। যেখানে গেলেই পাওয়া যাবে শত শত কফিনবন্দি মমি। মিশরের পিরামিডের ভেতরে এ পর্যন্ত অনেক ফারাও রাজাসহ বিভিন্ন মানুষ, পশু-পাখির মমির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেকালে মানুষের ধারণা ছিল মৃত্যুর পর আবারও ফিরে আসা যায়। সেখানেও আছে আরেক জীবন। এজন্য শরীর নষ্ট হতে দিতেন না তারা। সংরক্ষণ করে রাখতেন। সঙ্গে খাবার, পোশাক, গয়না, টাকা-পয়সাসহ পোষা কুকুর-বিড়ালকেও দিয়ে দিতেন।
তবে মমিকরণের প্রথার সঙ্গে মিশরীয়দের আরও একটি অদ্ভুত প্রথা ছিল মমি কর্মীদের হত্যা করা। হায়ারোগ্লিফ লিপির পাঠোদ্ধারের পর প্রকাশ্যে আসে এমনই ভয়ংকর ইতিহাস। খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকের সিসিলিয়ান ঐতিহাসিক ডায়োডোরাস সিকুলাসের গ্রন্থ বিবলিওটেকা হিস্টোরিয়াতেও পাওয়া যায় এমন তথ্য। ওই সময়ের ধারাবাহিক ইতিহাসকে এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছিলেন ডায়োডোরাস। এই গ্রন্থে মিশরীয়দের জীবনযাপন ও রীতি-রেওয়াজ, নীল নদ, মমির কথা বলেছেন তিনি।
ডায়োডোরাসের কথায়, মমি তৈরির মধ্যে যেমন মিশরীয়দের ধর্মীয় আচার লুকিয়ে আছে; তেমনই আছে বিজ্ঞানের ব্যবহারও। সমাজের কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি মারা গেলে প্রাথমিকভাবে তার দেহ নিয়ে যাওয়া হতো ‘ইবু’ নামের একটি ঘরে। মিশরীয় ভাষায় ‘ইবু’ কথার অর্থ ‘বিশুদ্ধকরণের মন্দির’।
একেকটি মমি তৈরি করতে লাগত ৪০ থেকে ৭০ দিন। মমি করার কাজে একইসঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং রসায়নে পারদর্শী হতে হতো কর্মীদের। মমি তৈরি করতে মৃতদেহ ইবুতে আনার পর তালের তৈরি মদ ও নীল নদের পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হতো মৃতদেহ। এই কাজ করতেন, তাদের বলা হতো ‘স্ক্রাইব’। তাদের কাজ ছিল শুধু মৃতদেহ পরিষ্কার করা। অর্থাৎ আচার মেনে মৃতদেহের শুদ্ধিকরণ করতেন স্ক্রাইবরা। এরপর শুরু হতো অস্ত্রোপচার। শরীর থেকে বের করা হতো হৃৎপিণ্ড ছাড়া বাকি সব পচনশীল অঙ্গ। হৃৎপিণ্ড তারা বের করতেন না। কারণ মিশরীয়দের ধারণা ছিল, মৃত্যুর পরে হৃৎপিণ্ডের ওজন করেই মানুষের আত্মার বিচার করেন আনুবিস। দেহের উপরিভাগের অঙ্গগুলো বড়শির সাহায্যে মুখ দিয়ে বের করে ফেলা হতো। তবে পাকস্থলি ও নিম্নাঙ্গগুলো বের করতে শরীরের বাঁ দিকে সামান্য গর্ত করে নিতেন।
মৃতদেহের শরীরে গর্ত করার এই কাজ করতেন ‘স্লিটার’ নামের একদল কর্মী। বলতে গেলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ছিল তাদেরই। মমিকরণের জন্য এ পদ্ধতি একদিকে যেমন অত্যন্ত জরুরি ছিল; তেমনই মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল মৃতদেহে আঘাত বা ক্ষত তৈরি করা ভয়াবহ পাপ এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য মিশরীয়রা যে কাজটি করতেন, তা শুনলে যে কারো চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য।
স্ক্রাইবদের চিহ্ন করে দেওয়া অংশের মাংস কেটেই দৌড়াতে শুরু করতেন স্লিটাররা। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা তাদের মাথা লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকতেন। পাথরের আঘাতে অনেকে গুরুতর আহত হতেন। কেউবা ঘটনাস্থলেই মারা যেতেন।
এই পেশাকে মিশরীয়রা বলতেন অকৃতজ্ঞ কাজ। অকৃতজ্ঞ বলতে যেহেতু মৃতদেহে আঘাত করা ভয়াবহ পাপ, তাই স্লিটাররা ছিলেন পাপী আবার অকৃতজ্ঞ প্রজা। এমনকি তারা মারা গেলে তাদের মৃতদেহের কাছে ঘেঁষতেন না সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে মমিকরণের জগতে সবচেয়ে সম্মানজনক কাজ ছিল স্ক্রাইবদের। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ পেতেন স্লিটাররা। কারণ তাদের কাজ ছিল ছুরি দিয়ে মাংস কাটা এবং দৌড়ানো। তাই স্লিটারদের শরীরবিদ্যা সম্পর্কে শুধু জ্ঞান থাকলেই চলত না। জানতে হতো দ্রুত দৌড়ানোর কৌশলও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড হিস্টোরি, গ্রাঞ্জ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


শাকিল আহমেদ জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
১৯ মার্চ ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের অহংকার- সম্প্রীতীর বাংলাদেশ, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৯ মার্চ ) বিকেল ৫ টায় সদর উপজেলা পরিষদের মুজিবুর রহমান ঢালী
স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
এস এম সোলাইমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারতের কলকাতা প্রেসক্লাবের
সভাপতি স্নেহাশিস সুর, কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস
কমিউনিকেশন ও ভিডিওগ্রাফির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. দেবজ্যোতি
চন্দ্র, কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোঅর্ডিনেটর গণজ্ঞাপন বিভাগের
অধ্যাপক ডঃ সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহবায়ক ও
সদস্য বাংলা ওয়ার্ল্ডের বিদ্যুৎ মজুমদার।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোমেন আহমেদ
চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা, রাজা চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের
সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনরা।
শাকিল আহমেদ ,,
জয়পুরহাট
মোবাইল -০১৭৩৩১৬৭৭১৪,
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী’র বিক্ষোভ মিছিল


মোঃ মাইনুল ইসলাম
জামালপুর প্রতিনিধি
“হটাও দালাল, বাচাও ভূমি মালিক” এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ ও দালালদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে উপকার ভোগী সচেতন ভূমি মালিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রবিবার (১২মার্চ) সকালে চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে উপকার ভোগীরা, পরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে বেনুয়ারচর বাজার ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভূমি অফিসে এসে শেষ হয়।
এসময় এলাকাবাসীর বক্তব্যে বলেন, চরপুটিমারি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম যোগদান করার পর ভূমি অফিসকে দালাল মুক্ত ঘোষণা করায় দালালরা ক্ষিপ্ত হয়ে নায়েবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে ঝাড়ু মিছিলসহ নানান অপপ্রচার করেছে।
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। এবং অত্র ইউনিয়নের যোগদানের পর ভালো ভূমি সেবা দেওয়ার জন্য ঐ ইউনিয়নের সাধারণ উপকার ভোগীরা, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম’কে ফুলের মাল্য পড়িয়ে সংবর্ধনা দেন।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলে আটক


শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ছেলের মারপিটে চায়না খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সলঙ্গার নাইমুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত বৃদ্ধা নাইমুড়ি এলাকার মৃত আলহ্বাজ আলীর স্ত্রী।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাসড়কে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে শরিফুলের একটি ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। এ নিয়ে তার মা চায়না খাতুনের সাথে শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শরিফুল তার মাকে বেধরম মারপিট করে আহত করে। পরে নিহতের নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং রাত দশটার দিকে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে শরিফুলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৮/০৩/২০২৩
ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় আটক ৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চট্রগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে র্যাব-৯ এর সদস্য। বুধবার (৮ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত হেলিম ভূইয়ার ছেলে এজহারনামীয় আসামি জাকির হোসেন জাকু (৪৮), একই গ্রামের হাজী আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), উপজেলার চাওড়া দৌলতবাড়ী আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন (৩৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে এবং বর্তমান চাওড়া দৌলতবাড়ীর বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ মার্চ রাতে ইসলামি বক্তা মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নুরী (৩৮) তার সহযোগী একজনসহ বিজয়নগর এলাকার দৌলতবাড়ী দরবার শরীফের মাহফিল শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জেলার আখাউড়া উত্তর ইউপির রামধননগর গ্রামের রেলক্রসিং এর কাছে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ করে।
আসামিরা মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে জিহ্বা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গুরুতর জখম হয়। তারা সাথে থাকা ব্যক্তিকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনায় মাওলানা শরীফের চাচা মো. আব্দুল বাছির ভূইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে জোরদার করে। র্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত ৪ জনকে চট্টগ্রাম জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান হতে এজাহারনামীয় একজনসহ ৪ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান ইসলামি বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নুরীর সেদিনের ওরসের বক্তব্যের কিছু অংশ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি এবং সেই বক্তব্যে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং মাওলানা শরীফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।
যার ফলশ্রুতিতে, মাওলানা শরীফ ওরস থেকে ফেরার পথে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার ফলে তার জিহ্বা কেটে যায়। এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তে স্পষ্ট হবে। এসময় র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ যমুনা টিভি
আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে ভূঞাপুরে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


কোরবান আলী তালুকদার:
“ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৮ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে এই দিবসটি পালন করা হয়। প্রথমে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গীস বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলিফ নুর মিনি, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমিনা বেগম, উপজেলা প: প: কর্মকর্তা তাহমিনা তাবাসসুম, ভূঞাপুর থানার এসআই মোঃ লিটন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদুল হক টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার জাহিদ হাসান, প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিক, অর্জুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দিদারুল আলম মাহবুব প্রমুখ।