লুটপাট হরিলুটে এগিয়ে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস


প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজ ও গণপূর্তের সরকারি আবাসিক কলোনির ভবন নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও মেরামতকাজে পিপিআর বিধিমালা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে আজিমপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবিরও অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহম্মেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঠিকাদারকে হয়রানি করায় গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একজন ভুক্তভোগী ঠিকাদার লিখিত অভিযোগ করেছেন। আর ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারীকে কালো তালিকাভুক্তকরণের প্রস্তুতিসহ তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং গণপূর্ত বিভাগের কোথাও ঠিকাদারির কাজ করতে না দেয়াসহ হয়রানি করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহম্মেদের কারসাজি ও তার পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া কাজ দেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগে থেকে পছন্দের ঠিকাদারদের কাছ থেকে নজরানা আদায়ের মাধ্যমে ‘যেমন খুশি তেমনভাবে’ কাজ করে আসছেন। গণপূর্ত বিভাগের সাবেক একজন মন্ত্রীর বাড়ি তার এলাকায় হওয়ায় বর্তমান চেয়ারে আসীন হন। তার হাত অনেক লম্বা দাবি করে বিভিন্ন ঠিকাদারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে কমিশনের মাধ্যমে কাজ করে আসছেন। আজিমপুর এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে তার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ছাড়াও ভুক্তভোগীদের নানান হয়রানির খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার ২৭৬ লালবাগ রোডস্থ ‘মেসার্স এম.এ আলী এন্টারপ্রাইজ’ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটারের পক্ষ থেকে গত ২৯ মার্চ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। উক্ত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তিনি ই-জিপি টেন্ডারে আজিমপুর বিভাগে একটি কাজ পেয়েছিলেন। নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহম্মেদ তাকে ডেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু তিনি তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার কাজ শেষে বিল দাখিলের পর পুনরায় মোট বিলের ১৩ শতাংশ ঘুষ দাবি করেন। এরপর বিল পেতে ঝামেলার আশঙ্কায় প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদকে ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ওই ঠিকাদার। কিন্তু তার চাহিদামতো ঘুষ না দেয়ায় প্রায় দুই বছর ঘুরিয়ে একাধিক কিস্তিতে তার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, টেন্ডারে কাজ প্রাপ্তির সময় জামানত হিসেবে দেয়া ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক ইস্যু হওয়ার পরও নানা টালবাহানার মাধ্যমে তার চেকটি দেয়া হয়েছে।
রোববার (১২ জুন) এম.এ আলী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার পল্টু আরো বলেন, কাজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আমাকে ডেকে সরাসরি দুই লাখ টাকা চাইলেন। ঘুষ দিতে রাজি না হওয়াটাই কাল হয়েছে। মাত্র ১০ লাখ টাকার বিল দিতে তিনি দুই বছরের বেশি সময় ঘুরিয়েছেন। এসব কারণে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর বিচার দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেছেন, নির্বাহী প্রকৌশলী টাকার জন্য সবার সঙ্গে স্বৈরাচারী আচরণ করে থাকেন। তিনি ব্যাপক অদৃশ্য ক্ষমতার অধিকারী বলে নিজেকে দাবি করেন। ইলিয়াস আহম্মেদ দীর্ঘদিন আজিমপুর বিভাগের দায়িত্বে থাকায় আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছেন। তার জন্মস্থান দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হওয়ায় সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর প্রভাব বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওই মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হলেও আধিপত্য থামেনি।
শুধু তাই নয়, এর আগেও অনেক ঠিকাদার আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহম্মেদের বিরুদ্ধে ই-জিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া, ভবন ঝুঁকিপূর্ণ নোটিস দেয়া এবং পুনরায় মেরামতসহ নানা কৌশল করে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। গত ৬ বছরের বেশি সময় একই চেয়ারে থাকায় আধিপত্য গড়ে ওঠায় পচ্ছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে নানা অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর চলতি বছরের শুরুতে এসব বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তর ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, লালবাগ থানাধীন আজিমপুর সরকারি কলোনির (মৌচাক) সর্বমোট ১০টি আবাসিক ভবন ছিল। এরমধ্যে নতুন ৩৭ ও নতুন ৩৮ ভবন দুটি অত্যাধিক নাজুক জরাজীর্ণ অবস্থার নোটিশ করা হয়। ভবন দুটিতে নিয়মিতভাবে অভ্যন্তরীণ সিভিল, স্যানিটারী মেরামত কাজ করা হয়।
এক নোটিসের স্মারক নং ২৫,৩৬,২৬০০–২১০৪-এ বলা হয়, আজিমপুর সরকারি মৌচাক কলোনির ভবন নং ৩৭ ও ৩৮ নতুন ভবন অতি পুরাতন ও জরাজীর্ণ। উক্ত ভবন দুটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পুলের আওতায় বরাদ্দকৃত মোট ৪৮টি ফ্ল্যাটে বসবাসকারী কর্মচারীগণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সপরিবারে বসবাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উক্ত ভবন দুটির গেটে নোটিস টাঙিয়ে বলা হয়েছিল- এতদ্বারা সম্মানিত এলোটিগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগ, ঢাকার স্মারক নং ২৫, ৩৬–২১০৪ তারিখ ২০-০৯-২০২১ খ্রি. অনুযায়ী মৌচাক কলোনির ৩৭ (নতুন) ভবনটিকে দুর্ঘটনাপ্রবণ ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার প্রেক্ষিতে এলোটিগণকে অন্যত্র বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সাথে জরুরিভিত্তিতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো। অথচ উক্ত ভবন দুটি ঠিকাদারের মাধ্যমে তা মেরামত করা হয়। অর্থাৎ নিজেরাই ওই সব ভবনকে ব্যবহার অনুপযোগী বলে, আবার সরকারের টাকায় সেগুলো মেরামতের নামে পছন্দের ঠিকাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে অর্থ আত্মসাৎ করে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহম্মেদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
তবে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার স্বাক্ষরিত এক বক্তব্যের এক জায়গায় বলা বলা হয়েছে, অভিযোগকারী পল্টন দাসের বিল প্রদান পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মনগড়া এবং বানোয়াট তথ্যসংবলিত পত্র প্রেরণের মাধ্যমে সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে আসছেন। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সমুদয় অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে পরিশোধ করা হয়েছে।
গত ১৯ মে নির্বাহী
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী’র বিক্ষোভ মিছিল


মোঃ মাইনুল ইসলাম
জামালপুর প্রতিনিধি
“হটাও দালাল, বাচাও ভূমি মালিক” এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ ও দালালদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে উপকার ভোগী সচেতন ভূমি মালিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রবিবার (১২মার্চ) সকালে চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে উপকার ভোগীরা, পরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে বেনুয়ারচর বাজার ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভূমি অফিসে এসে শেষ হয়।
এসময় এলাকাবাসীর বক্তব্যে বলেন, চরপুটিমারি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম যোগদান করার পর ভূমি অফিসকে দালাল মুক্ত ঘোষণা করায় দালালরা ক্ষিপ্ত হয়ে নায়েবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে ঝাড়ু মিছিলসহ নানান অপপ্রচার করেছে।
নায়েবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। এবং অত্র ইউনিয়নের যোগদানের পর ভালো ভূমি সেবা দেওয়ার জন্য ঐ ইউনিয়নের সাধারণ উপকার ভোগীরা, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম’কে ফুলের মাল্য পড়িয়ে সংবর্ধনা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


শাকিল আহমেদ জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
১৯ মার্চ ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের অহংকার- সম্প্রীতীর বাংলাদেশ, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৯ মার্চ ) বিকেল ৫ টায় সদর উপজেলা পরিষদের মুজিবুর রহমান ঢালী
স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
এস এম সোলাইমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারতের কলকাতা প্রেসক্লাবের
সভাপতি স্নেহাশিস সুর, কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস
কমিউনিকেশন ও ভিডিওগ্রাফির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. দেবজ্যোতি
চন্দ্র, কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোঅর্ডিনেটর গণজ্ঞাপন বিভাগের
অধ্যাপক ডঃ সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহবায়ক ও
সদস্য বাংলা ওয়ার্ল্ডের বিদ্যুৎ মজুমদার।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোমেন আহমেদ
চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা, রাজা চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের
সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনরা।
শাকিল আহমেদ ,,
জয়পুরহাট
মোবাইল -০১৭৩৩১৬৭৭১৪,
বিরামপুরে এনজিও ভবন ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন


মোঃ সাইফুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
বিরামপুরে হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এইচ.আর.ডি.এফ) নামের একটি এনজিও’র অফিস ভাংচুর ও সম্পদ বিক্রির প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারীসহ স্থানীয় সদস্যরা শনিবার (২৫ মার্চ) মানববন্ধন করেছে।
শহরের বেলডাঙ্গায় সংস্থার কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধনে সংস্থার সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা বলেন, পৌল চারোয়া তিগ্যা ১৯৯১ সালে সংস্থাটি চালু করেন। সেখানে সঞ্চয়, ঋণদান, কমিউিনিটি ডেভেলপমেন্ট ও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন্ ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠাতা মারা গেলে সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সংস্থার তৎকালীন পরিচালক লরেন্স বেক ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে সংস্থার বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করেছেন এবং বর্তমানে বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলছেন। এর প্রতিবাদে সংস্থার সেক্রেটারী থানায় অভিযোগ করেছেন এবং শনিবার মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি বাদল তিগ্যা, সেক্রেটারী বিশ্বনাথ তিগ্যা, দাতা নিকোলাস মিঞ্জ, কোষাধ্যক্ষ রজন মÐলসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রকাশ্যে হত্যা


মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ,
ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কহিনূর মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।০৮ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর ধলাপাড়া গ্রামের সামী চৌধুরীর সঙ্গে কহিনূর মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের বাজেয়িদ, তারা মিয়া ও ইসমাইল কহিনূরকে ডেকে বায়েজিদের বাড়িতে নিয়ে য়ায়। সেখানে সামি চৌধুরীসহ তাদের সঙ্গে কহিনূরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, জানতে পেরেছি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে কহিনূর নামের ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলে আটক


শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ছেলের মারপিটে চায়না খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সলঙ্গার নাইমুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত বৃদ্ধা নাইমুড়ি এলাকার মৃত আলহ্বাজ আলীর স্ত্রী।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাসড়কে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে শরিফুলের একটি ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। এ নিয়ে তার মা চায়না খাতুনের সাথে শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শরিফুল তার মাকে বেধরম মারপিট করে আহত করে। পরে নিহতের নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং রাত দশটার দিকে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে শরিফুলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৮/০৩/২০২৩